পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কেন হয়?

                         পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন 

পোস্টপার্টাম মানে হচ্ছে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পরের সময়। এ সময়ে একজন নারীর ডিপ্রেশনের উপসর্গ দেখা দিলে তাকে বলা হয় পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন। কোনো কারণ ছাড়াই এসব মায়েরা কাঁদবেন, হাসবেন, ঝগড়া করবেন, জিদ করবেন, বিষন্ন হবেন। এটা কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যায়। যদি কারো বেলায় ঠিক না হয় তখনই সেটি পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা পোস্টপার্টাম সাইকোসিসের দিকে যায়।

প্রসবপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারনে বিষন্নতা হয়ে তাকে। প্রসব পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ও কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা যেমন একদিকে অনেক কমে আসে তেমনি কম ঘুম বা ঘুম ভেঙে সন্তানকে খাওয়ানো বা অন্যান্য দেখাশোনার কারণে পরিপূর্ণ ঘুম অনেক সময় না হওয়ার কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। অপূর্ণ বা অপর্যাপ্ত ঘুম এবং সেই সঙ্গে ক্লান্তি এ দুটিকে অনেকে প্রসবপরবর্তী বিষন্নতার একটি সহযোগী কারণ বলে মনে করে থাকেন।

যেসব মায়েরা পারিবারিক সহযোগিতা কম পেয়ে থাকে, অথবা আগে কোনো না কোনো মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে প্রসবপরবর্তী বিষন্নতার আশঙ্কা বেশি হয়ে থাকে।সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রথম দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে যে কোনো সময় এ রোগ শুরু হতে পারে। মা দুঃখ ও হতাশায় ভোগেন। কখনো কখনো নিজেকে দোষী ভাবতে থাকেন। কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারেন না এবং কোনো কিছুতে উৎসাহ পান না। এমনকি বাচ্চার প্রতিও কোনো উৎসাহ থাকে না।

কাদের বেশি হয়

  • আগে যদি ডিপ্রেশনে ভোগার ইতিহাস থাকে, বিশেষ করে সন্তান জন্মদানের সময়
  • দাম্পত্য কলহ থাকলে কিংবা হাসবেন্ড দূরে থাকলে
  • পরিবার বা বন্ধুবান্ধব সহানুভূতিশীল না হলে
  • সাম্প্র্রতিক কোনো চাপে থাকলে
  • বাচ্চার লালন-পালন কষ্টকর হলে

কেন হয়  

সন্তান জন্মের এক সপ্তাহ পর সেক্স হরমোন এবং স্ট্রেস হরমোনের লেভেল ওঠানামা করে, যার ফলে মস্তিষ্কের যে অংশ আমাদের অনুভূতি ও সামাজিক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অংশে বেশ পরিবর্তন হয় এবং উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়।

  • বিষন্ন থাকা  ও অশ্রু সংবরণ করতে না পারা
  • বাচ্চার ভালোমন্দ ও দায়দায়িত্ব চিন্তা করে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়া
  • হতাশ হয়ে যাওয়া এবং নিজেকে অসমর্থ ও দোষী ভাবা
  • খিটখিটে মেজাজ

Comments